বুধবার ● ২০ মে ২০২০
প্রথম পাতা » উপকুল » তজুমদ্দিনে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাধ॥ চরাঞ্চল প্লাবিত
তজুমদ্দিনে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাধ॥ চরাঞ্চল প্লাবিত
শরীফ আল-আমীন / নিউটন বিশ্বাস :
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া সেই সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উত্তাল হয়ে উঠছে মেঘনা নদী। স্বাভাবিকতার চেয়ে প্রায় ৫ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানিতে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এসব চরাঞ্চলে বসবাসকৃত হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে কৃষকদের ফসলি মাঠ। এছাড়া উপজেলার চাঁচড়া, চাঁদপুর ও সোনাপুর তিনটি ইউনিয়নের ৪টি স্পটে বেঁড়িবাধ ঝুটিপূর্ণ হয়ে উঠছে। যেকোনো মুহুর্তে এসব স্থানে বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হতে পারে তিনটি ইউনিয়নের শত শত গ্রাম।
খবর পেয়ে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ঝুঁকিপূর্ণ এসব বেঁড়িবাধ পরিদর্শণ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রাসেদ খান বলেন, এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৭২ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। ইতোমধ্যে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সাড়ে ৩৪ হাজার মানুষ এবং ৫টি মাটির কেল্লায় ও সাইক্লোন সেল্টারগুলোতে সাড়ে ১৪ হাজার গভাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও খিচুড়ী বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রচার প্রচারণা ও মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে মাঠে কাজ করছে ৬শ সিপিপির সদস্য।
চাঁচড়া ইউপি চেয়াম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান বলেন, চাঁচড়া ৮ নং ওয়ার্ডে বেড়িবাধ অনেকাংশ ভেঙ্গে গেছে। এমপি মহোদয়ের নির্দেশে বাঁধ রক্ষায় শতাধীক লোক ও একটি ভেকু মাটি কাটার কাজ করছে।
সোনাপুর ইউনিয়নের চরজহির উদ্দিন ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইমন, চরের রাস্তাঘাট ও বাজারগুলো বেলা ১২টার পর থেকেই জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও অনেকেই এখনো নিজ ঘরে পানি বন্ধি হয়ে আছে।