শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

Dip News24.com
মঙ্গলবার ● ১৯ মে ২০২০
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » করোনা কাঁপুনির মধ্যেই ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটারের অশনি সঙ্কেত পশ্চিমবঙ্গে আমফানের।
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » করোনা কাঁপুনির মধ্যেই ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটারের অশনি সঙ্কেত পশ্চিমবঙ্গে আমফানের।
৭০০ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৯ মে ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

করোনা কাঁপুনির মধ্যেই ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটারের অশনি সঙ্কেত পশ্চিমবঙ্গে আমফানের।

টিটব বিশ্বাস, ভারত থেকে।।

---
করোনা কাঁপুনির মধ্যেই ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটারের অশনি সঙ্কেত বঙ্গে আমফানের।পশ্চিমবঙ্গের আরও কাছে চলে এল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান।এই মুহূর্তে আমপান ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে মাত্র প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছেন।দিঘা থেকে ৬০০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৭০০ কিলোমিটারে দূরের আশপাশের রয়েছে।স্থলভাগে যখন আছড়ে পড়বে ঘূর্ণনের গতিবেগ হবে ১৫৫-৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।এমনকি তা ১৮০-৮৫ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে যেতে পারে।সেই সঙ্গে হবে প্রবল জলোচ্ছ্বাস।প্রায় দু’দশক আগেকার ভয়াবহ স্মৃতি উস্কে বঙ্গোপসাগরে ফের জন্ম নিল এক ‘সুপার সাইক্লোন’ বা মহা ঘূর্ণিঝড়।তবে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি এবং হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের ঝরো হাওয়া।আমফানের প্রস্তুতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের,আস্বাস দিলেন কেন্দ্রের সাহায্যের৷উপকূল এলাকার প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা নিয়েই বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দু’জনের।দিঘা-সহ সন্দেশখালি, সুন্দরবন,কাকদ্বীপের মতো উপকূল এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।তবে দিল্লির মৌসম ভবনের আশ্বাস,আমফান নামের ওই ঘূর্ণিঝড় সুপার সাইক্লোনে পরিণত হলেও সে ওই ভয়াল চেহারা নিয়ে ডাঙায় আছড়ে পড়বে না।আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় সে দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝামাঝি কোনও জায়গা দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকতে পারে এবং সেই সময় তার যে-রূপ ধরার কথা,আবহবিদদের পরিভাষায় তাকে বলা হয় ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন’ বা মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়।হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে,উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে পারে।বুধবার গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রায় সর্বত্র ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে।আমফানের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলী, নদীয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে মুল চুড়ার একটি ধব্জা হাল্কা হাওয়া হতেই উরে গিয়েছে তবে পরবর্তী সময়ে নতুন করে ফের লাগানো হয়েছে ধব্জা।তবে এই নিয়ে চিন্তিত সকলেই।আগাম সতর্কতা জারি রয়েছে গোটা পুরী শহরে।ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে কলকাতাতেও।তবে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝের অঞ্চল।আজই আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।সুপার সাইক্লোন,১৯৯৯ সালে পারাদ্বীপ ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গোপসাগরে প্রথম সুপার সাইক্লোন।বুধবার স্থলভাগে ঢোকার আগে কিছুটা শক্তি খুইয়ে চরম তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।বুধবার দুপুর বা বিকেলে দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝামাঝি, সুন্দরবনের কাছে আছড়ে পড়তে পারে।বুধবার সারা দিনে বাড়ির বাইরে না-বেরোনোই ভালো।নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ,পানীয় জল মজুত রাখুন।জাতীয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি দলকে বাংলায় এবং ওড়িশায় মোতায়েন করা হয়েছে।এরমধ্যে ৭টি দল বাংলার ৬টি জেলায় থাকবে।স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ হতে পারে ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার/ঘণ্টা।সোমবার সকাল পর্যন্ত দিঘা থেকে ৯০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ছিল এই ঘূর্ণিঝড়।সোমবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী।নয়াদিল্লির মৌসম ভবনের মতে,উম্পুনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে ওড়িশার উত্তরভাগে।ঘূর্ণিঝড় আমফানের নামকরণ করেছে তাইল্যান্ড।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন নবান্নে জানান, ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের।উপকূলে যাঁরা থাকেন, তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে যথাসম্ভব বিধি মেনে রাখতে হবে বাসিন্দাদের।বিপর্যয় মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।এনডিআরএফ,এসডিআরএফের দল প্রস্তুত আছে। নবান্নেও দিনরাত উপস্থিত থাকবেন প্রশাসনিক কর্তারা।দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনে ঝড়ের বিপদ সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির বিষয়ে পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।সুন্দরবনে নদীর কাছ থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিচ্ছেন বনকর্মীরা।ঝড়ের পরে ত্রাণকাজে নামবে বন দফতর।প্রতিটি বিট ও রেঞ্জ অফিসে চার দিনের রেশন মজুত রাখা হয়েছে।ঝড়ের আগে জলযানের বদলে ক্যাম্প অফিসে থাকতে বলা হয়েছে কর্মীদের।রাজ্যের সব চিড়িয়াখানাকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন রাজ্যের জ়ু অথরিটি।উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিভিন্ন বন্যাত্রাণ কেন্দ্র ও স্কুলভবনে শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।অনেক জায়গা থেকেই বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।এই দিন সাগরের বিচ্ছিন্ন ঘোড়ামারা দ্বীপ থেকে শ’খানেক বাসিন্দাকে সাগ





আর্কাইভ