শনিবার ● ১৬ মে ২০২০
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » কোটালীপাড়ায় এক অসহায় নারীর ধান কেটে দিলেন অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা
কোটালীপাড়ায় এক অসহায় নারীর ধান কেটে দিলেন অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
যে হাতে সবসময় থাকে ডাস্টার, চক বা কলম সেই হাতে কাঁচি নিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ছিকটীবাড়ী গ্রামের এক অসহায় বিধবা নারীর ধানকাটা শ্রমিক ধান না কেটে চলে যাওয়ায় ওই নারীর ক্ষেতের ধান কাটতে নেমেছেন উপজেলার নেছার উদ্দিন তালুকদার স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশুতোষ বিশ্বাস ও শিক্ষকবৃন্দ। এলাকার অসহায় মানুষের ধান যতদিন মাঠে থাকবে ততদিন তিনিও তার এলাকার শিক্ষক,সমাজসেবক ও এনজিও কর্মীদের নিয়ে ধান কাটতে মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন । শনিবার অধ্যক্ষ আশুতোষ বিশ্বাস তার এলাকার শিক্ষক,সমাজসেবক,এনজিও কর্মীদের নিয়ে ছিকটীবাড়ী বিলে গিয়ে অসহায় বিধবা গৌরি পান্ডের এক বিঘা জমির ধান কেটে দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, জাগরণী সংস্থার পরিচালক রেনুকা বিশ্বাস, শিক্ষক পীযুষ বিশ্বাস, বাদল বিশ্বাস,পলাশ বিশ্বাস,সুনীতি বিশ্বাস,সত্যেন বিশ্বাসসহ ২০ জন কর্মজীবী মানুষ। কিষানী গৌরি পান্ডে বলেন, কয়েক দিন আগেই আমার জমির পাকা ধান কাটার উপযুক্ত হয়েছে। রাজাবাড়ী থেকে আমাদের এলাকায় ধানকাটা শ্রমিকরা এসেছিল। তাদের আমার ধান কেটে দেওয়ার কথা ছিল । কিন্তু আমার ধান না কেটে দিয়েই ধানকাটা শ্রমিকরা চলে যায়। এতে আমি খুব বিপদে পরে যাই। এ কথা জানার পর অধ্যক্ষ আশুতোষ বিশ্বাস এলাকার চাকুরিজীবিদের নিয়ে এই ধান কেটে দেওয়ায় আমার অনেক উপকার হয়েছে। অধ্যক্ষে আশুতোষ বিশ্বাস বলেন, আমি একজন কৃষকের ছেলে। কৃষকের রক্ত আমার শরীরে বইছে। কাঁচি হাতে নিয়ে ধান কাটার অভ্যাস আমার ছোটবেলা থেকেই আছে। করোনার কারণে বর্তমানে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। আমার এলাকার অসহায় গৌরি পান্ডের ধান না কেটে শ্রমিকরা চলে গিয়েছে বলে এ কথা আমায় জানায়। এ অবস্থায় আমি আমার এলাকার শিক্ষক, সমাজসেবক ও এনজিও কর্মকর্তাদের নিয়ে গৌরি পান্ডের ১ বিঘা জমির ধান বিনা পারিশ্রমিকে কেটে ঘরে তুলে দিয়েছি।