বৃহস্পতিবার ● ১৪ মে ২০২০
প্রথম পাতা » নারী » ‘ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোডের - পেছনের গল্প
‘ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোডের - পেছনের গল্প
বিনোদন ডেস্ক:
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোড’ সে বছর বিশ্ব চলচ্চিত্রের হিসাব–নিকাশ এলোমেলো করে দিয়েছিল। ৮৮তম একাডেমির আসরে এই ছবি ১০টি মনোনয়নের ভেতর বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল ৬টি অস্কার পুরস্কার। মনোনয়নের ভেতর সেরা পরিচালক ও সেরা ছবির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগও ছিল। দীর্ঘদিন পর পোস্ট অ্যাপক্যালাপ্টিক অ্যাকশন সিনেমার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বললেন মূল অভিনয়শিল্পী শার্লিজ থেরন ও টম হার্ডি। দুজনই নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, সিনেমার শুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের মনে হয়েছে, তাঁরা দুজনই আরও ভালো করতে পারতেন। ওই যে কথায় বলে না, চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে! তাঁদের হয়েছিল সেই অবস্থা। এর আগে কখনো মার মার কাট কাট অ্যাকশন আর ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যগুলো নিয়ে বা এই ছবির ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’ নিয়ে মিডিয়াতে মুখ খোলেননি কেউই। দীর্ঘদিন পর সেটাই করলেন। এই বেলা বলে রাখি, এই সিনেমা বানাতে প্রযোজকের পকেট থেকে গেছে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। আর ফিরে এসেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।
অস্কারজয়ী ৪৪ বছর বয়সী অভিনেত্রী শার্লিজ বলেন, ‘সেটে আমরা প্রত্যেকেই খুব ভয়ে ছিলাম। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ কারও সঙ্গে কথাও বলিনি। যেন কথা বললেই মাথা থেকে সব বেরিয়ে যাবে। ভাবনা গুবলেট পাকিয়ে যাবে। সত্যি কথা বলতে কী, পরিচালক জর্জ মিলার ও আমাদের সবার মাথায় ছবিটা ছিল। আমরা জানতাম কী করতে হবে। কিন্তু কীভাবে করতে হবে, সেটা প্রতিবার খুঁজে বের করতে হয়েছে।’
‘ম্যাড ম্যাক্স’ সিরিজের চতুর্থ কিস্তির এই ছবি নিয়ে টম হার্ডি নাকি খুবই ভয়ে ছিলেন। বললেন, ‘একবার ভাবুন, যে জুতো আগে তিন দফায় মেল গিবসন পরেছেন, সেই জুতো পায়ে আমি কীভাবে অন ক্যামেরায় স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে কাজ করি? আমি তো ভয়েই শেষ। আমি কেবল চেয়েছি, তিনি ও দর্শক যখন প্রথম তিনটি ছবি করে চতুর্থ ছবিতে ম্যাক্সের জায়গায় আমাকে দেখবেন, সবার যেন ঠিকঠাক লাগে। এত চাপ ছিল যে আমি সোজা করে কোনো কিছু ভাবতেই পারছিলাম না। শার্লিজও বোধ হয় আমার ভেতর আরেকটু ভালো, পরিপক্ক কাউকে খুঁজছিল।
ডেস্ক # এন বি আর