শুক্রবার ● ২ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশনে জাল দলিলে বাড়ি দখলের চেষ্টা
চরফ্যাশনে জাল দলিলে বাড়ি দখলের চেষ্টা
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি। ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের ফরাজি বাড়ির ৫৮ শতাংশ জমি জাল দলিল দিয়ে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার আবদুল মান্নান মাস্টার গংসহ একটি চক্রের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কাগজপত্র থেকে জানা যায়, এই জমির প্রকৃত মালিক চরফ্যাশন পৌরসভার কর্মচারী মো. শাহে আলম ফরাজী গং। দক্ষিণ ফ্যাশন মৌজায় দাতা আরব আলী ওস্তা থেকে ০৫ মে ১৯৩৭ইং তারিখের ২২৭০ নং দলিলে ১.৬০ শতাংশ জমি খরিদ সূত্রে মালিক হন মকবুল আহমেদ ফরাজী। তার মৃত্যুর পর আর এস ১০ ও এস এ ৮ খতিয়ানে বাবার ওয়ারিশ সূত্রে এই জমির মালিক হন ছেলে সামছল হক ফরাজী। তার মৃত্যুর পর ১৭৩০ নং নামজারি খতিয়ানের রেকর্ডে বাবার ওয়ারিশ সুত্রে এই জমির মালিক হন ছেলে আনছল হক ফরাজী, আবু তাহের ফরাজী ও শাহে আলম ফরাজী গং। দীর্ঘদিন যাবত শাহে আলম গং একটি বসতঘর, সুপারি বাগান ও বিভিন্ন গাছগাছালিসহ উক্ত বাড়ি ও জমি ভোগদখলে আছে। কিন্তু স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের ছত্রছায়ায় গত কয়েকদিন যাবত প্রতিপক্ষ আবদুল মন্নান মাস্টার গং একটি জাল দলিল দেখিয়ে প্রকৃত মালিক শাহে আলম ফরাজী গংদেরকে এই বাড়ি থেকে উচ্ছেদের লক্ষ্যে ভয়ভীতি, হুমকিধানকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
অভিযুক্ত আবদুল মান্নান মাস্টার যে দলিল দেখিয়ে জমি দাবি করছেন সে দলিল সংগ্রহ করে দেখা যায়, তার জাতীয় পরিচয় পত্র ও কালিয়াকান্দি কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতার এমপিও সীটে লিপিবদ্ধ জন্ম তারিখের প্রায় দুই বছর পূর্বে এই দলিল সম্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ আবদুল মান্নান মাস্টারের জন্ম হয়েছে ২১ আগষ্ট ১৯৬৩ইং আর জমির দলিল সম্পন্ন হয়েছে ১০ জুন ১৯৬১ইং তারিখে। তাছাড়া তার দলিলের দাতা তার জীবদ্দশায় বিক্রিত কোনো জমির দলিলে স্বাক্ষর দেয় নি টিপসই দিয়েছেন কিন্তু এখানে দেখা যায় মান্নান মাস্টারের দলিলে দাতার স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আবদুল মান্নান মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে জানা যায়, দলিল জালিয়াতির মামলার ভয়ে সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাই তার বক্তব্য সংযুক্ত করা যায়নি।
ভুক্তভোগী শাহে আলম ফরাজী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দলিল যার জমি তার। প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী আপনারা দেখুন প্রকৃত কাগজপত্র কার আছে। তিনি আরও বলেন, চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আমরা মামলা দায়ের করেছি যার মামলা নং ৩৫৫/২৩। এবং চরফ্যাশন থানায়ও অভিযোগ করা হয়েছে। আদালতে মান্নান মাস্টার যদি তার মালিকানার সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে এই জমির প্রতি আমার কোনো দাবি নাই। আর যদি না দেখতে পরে তাহলে আমাদেরকে উচ্ছেদের হুমকি-ধামকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির দায়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি বলে জানান ভুক্তভোগী।