মঙ্গলবার ● ২২ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ইয়াবা সিন্ডিকেটে মরিয়া কিশোর গ্যাং
প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ইয়াবা সিন্ডিকেটে মরিয়া কিশোর গ্যাং
বিশেষ প্রতিনিধি:
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কোড়ালমারা এলাকায় গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। এদের প্রধান কাজ গাঁজা -ইয়াবার ব্যবসা, সাধারণ মানুষকে হয়রানী ও চাঁদাবাজী। দাবীকৃত চাঁদা পরিশোধ না করলে গাঁজা-ইয়াবা দিয়ে মারপিট করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয়ভতি। দীর্ঘদিন এসব যুবকরা এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার ছত্রছায়ায় এই ভিলেজ ক্রাইমের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এদের অপরাধের সীমা লঙ্গন হলেও এসব প্রভাবশালীদের তদবীরে আইনগত ব্যবস্থা্ও নেয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দিন দুপরে এমনই এক ঘটনা ঘটে ওই এলাকার আঃ রশিদের ছেলে মোঃ নসু র সাথে। ওই চক্রের সদস্যরা মারপিট করে ইয়াবা দিয়ে নসুকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই আটকা পড়েছে পুলিশের জালে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে মোঃ নসু দুই সহযোগী মিরাজ ও সিরাজকে নিয়ে কোড়ালমারা এলাকার নুরুজ্জামানের গাছ কাটতে আসে।
এসময় চক্রের সদস্যরা নসুর কাছ থেকে কিছু টাকা পয়সা দাবী করে। নসু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই এলাকার সামীম, বজলু, নুর আলম, নুরনবী, শাহীন, ইমতিয়াজ, আক্তার, শাহীন মিলে নসুকে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেধে রেখে ইয়াবা দিয়ে পুলিশের কাছে খবর দেয়। পুলিশ নসুকে থানায় নেয়ার পর ঘটনা বিস্তারিত শুনে তদন্ত করলে আসল ঘটনা প্রকাশ পায়।
নসু জানান, কয়েক মাস আগে কোড়ালমারা নতুন ব্রিজের কাছ থেকে কাঞ্চনের ছেলে নুর আলমকে ৪০টা টেবলেট ও এক পুটলি গাঁজাসহ লালমোহনের পুলিশ আটক করে। নুর আলম দুই মাস ১৩ দিন জেল খেটে এসে ওই ঘটনায় দোষী বানিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবী করে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
ওই এলাকার বাসীন্দা মোঃ মফিজ মিয়া, মোঃ কামালউদ্দিন, শাখাওয়াত, মহিউদ্দিন সহ অনেকে জানান, নুরা, শামীম, বজলু সহ ১০/১৫ জনের একটি ক্রাইম টিম রয়েছে। এদের অবৈধ ব্যবসার বিরোধীতা বা চাহিদা পুরন না হলে এভাবে মানুষকে হয়রানী করে আসছে। কিন্তু প্রভাবশালী একাধীক নেতার তদবীরে পুলিশ মা্মলায় মুল আসামীদের না রেখে তাদের বাঁচানের চেষ্টা করছে।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইন-চার্জ এসএম জিয়াউল হক জানান, পুলিশী তদন্ত শেষে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুর আলম ও নুরনবীসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে মামলা এজাহার ভুক্ত করা হয়েছে।