বুধবার ● ২১ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশন হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিকট জিম্মি নার্স ও ব্রাদার
চরফ্যাশন হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিকট জিম্মি নার্স ও ব্রাদার
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার সরকারি হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মী, ওয়ার্ড বয় এবং ঝাড়ুদার প্রতিনিয়ত পালন করছেন ডাক্তার ও নার্সদের দায়িত্ব৷ এর বিনিময়ে সাধারণ রুগীদের নিকট থেকে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা৷
গত এক মাসের অনুসন্ধানে দেখা যায়, চরফ্যাশন হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের কাজের জন্য অন্য লোক ভাড়া করে রেখেছেন৷ আর তারা ডাক্তার ও নার্সদের সামনে অবৈধ ভাবে রুগীকে পুষ করছেন ইনজেকশন কিংবা পড়িয়ে দিচ্ছেন ক্যানোলা৷ একজন রুগী হাসপাতালে আসা মাত্র শুরু হয় প্রতিযোগিতা কে আগে রুগীর দায়িত্ব নিবে৷ প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে শুরু করে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত রুগীকে বাধ্য হয়ে থাকতে হবে পরিচ্ছন্ন কর্মীর তত্ত্বাবধানে৷ আর বিনিময়ে দিতে হবে মোটা অংকের অর্থ৷ এমন অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মী ও ওয়ার্ড বয় মনির, বেল্লাল, অনুকূল, হোসেন, রোকেয়া, আছিয়া ও জোসনার বিরুদ্ধে৷
চরফ্যাশন পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হজরত আলী, শাকিল, ইমরান হোসেন, বাহারুল ইসলাম ও আরাফাত সানিসহ অসংখ্য ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালে নার্স ও ব্রাদারগন বসে বসে গল্প করছে আর পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং ওয়ার্ড বয় কোন অভিজ্ঞতা না থাকা সত্যেও ইনজেকশন ও ক্যানোলা পড়াচ্ছে৷ এরা আবার রুগীর থেকে জোর করে শতশত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে৷
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন, আমরা অনেকেই বিভিন্ন জেলা বা বিভাগ থেকে চরফ্যাশন হাসপাতালে চাকরি করতে এসেছি৷ আমরা স্থানীয় পরিচ্ছন্ন কর্মী বা ওয়ার্ড বয়দের ক্ষমতার কাছে জিম্মি৷ তারা অনেকেই বাঁধা দেয় আমরা রুগীর নিকট না যেতে৷ তাদের কথা না শুনলে একযোগ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করার হুমকিও দেন৷
এ বিষয়ে হাসপাতালের ইউএইচও ডাঃ শোভন বসাক বলেন, প্রকৃত অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷