রবিবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশনে মেয়েকে এসিড মেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ
চরফ্যাশনে মেয়েকে এসিড মেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
ভোলা চরফ্যাশন উপজেলা আবদুল্লাপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের খালেক সিকদার মেম্বার হওয়ার জন্য নিজের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সালমা আক্তার মুন্নী কে এসিড নিক্ষেপ করে প্রতিপক্ষ প্রার্থী বেলায়েত হোসেন তোতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন৷
তোতার বোন সুখী বলেন, তার ভাই বেলায়াত হোসেন তোতা আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তিনি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরু করলে একই গ্রামের খালেক সিকদার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি এবার নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দেন এবং বেলায়াত হোসেন তোতা’কে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে তোতা রাজি না হয়ে প্রচার প্রচারণা চালানোর সময় খালেক সিকদার দেখে নেয়ার হুমকি দেন এবং এলাকায় কি ভাবে থাকে দেখে নিবে বলেও হুমকি দেন৷ তার দুই দিন পর গত ৫ ফেব্রুয়ারী খালেক সিকদারের মেয়ে সালমা আক্তার মুন্নি কে এসিড মারার অভিযোগ দিয়ে তার ভাইকে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন৷ যা সম্পুর্ন মিথ্যা৷
এছাড়াও মুঠো ফোনে মেম্বার প্রার্থী বেলায়েত হোসেন তোতা বলেন, উপরে আল্লাকে স্বাক্ষী রেখে বলছি আমি এসিড সন্ত্রাস করিনি৷ আমি চক্রান্তের শিকার৷ আমি মেম্বার প্রার্থী হওয়া এবং খালেক সিকদার ৬১ হাজার টাকা খেয়ে কমিটি করেছে এমন তথ্য প্রমান সহ প্রকাশ করায় আমাকে এমন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে৷ আমি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জোর দাবি জানাচ্ছি৷
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ঘটনার রাতে মুন্নি নিজ ঘরের বারান্দার খাটে শুয়ে মোবাইল দেখছিল। এ সময় খোলা জানালা দিয়ে একই এলাকার বখাটে তোতা মিয়া ও হানিফ মাঝি তার ওপর ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে অ্যাসিড ছোড়ে। এতে মন্নির মুখের ডান পাশের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চলমান৷