শুক্রবার ● ২৯ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশনে জেনারেল হাসপাতালের নামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
চরফ্যাশনে জেনারেল হাসপাতালের নামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডে ১৯৬৬-৬৭ সনে নিলামে খরিদ সুত্রে দখলিয় সম্পত্তি ওয়ারিশ থেকে ১০ জুলাই ২০১৯ তারিখে চরফ্যাশন সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে জেনারেল হাসপাতালের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে৷ যার দলিল নং ৪০১৯ অনলাইন নামজারি নং ১৪২৯৷ কিন্তু দীর্ঘ ৫৩ বছর পরে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় জনৈক আবু জাহের তালুকদার উক্ত জমির প্রকৃত মালিক দাবি করে কিছু ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে গত ১৯ জানুয়ারি- ২০২১ তারিখে চরফ্যাশন যুগ্ন জজ (২য়) আদালতে আমাদের দলিল বাতিলের জন্য মোকদ্দমা দায়ের করেন৷ যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক বলে দাবি করেছেন মিজানুর রহমান ও দিলারা বেগম৷ তার সাথে চরফ্যাশনের কিছু সংবাদ কর্মীকে ভুল বুঝিয়ে আমাদের জেনারেল হাসপাতালের নামে অন্যের রেকর্ডীয় জমি দখলের পায়তারা চলছে সংবাদ প্রকাশ করেছেন৷ আমরা এই মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদের তিব্র প্রতিবাদ করছি৷
জানা যায়, ১৯৬৬-৬৭ সনের পূর্বে দীর্ঘ অনেক বছর মুকবুল খান এবং আবুল হাসেম মাস্টার জমির খাজনা, দাখিলাসহ ততকালীন সরকারের নিয়মকানুন না মানার করনে সরকার ১২ একর ৭ শতাংশ জমি নিলামে তুলে৷ যাহার নিলাম কেইস নং ৩৪৬-L/৬৬-৬৭৷ উক্ত সরকারের নিলামে তোলা জমি জয়গুন খানম ক্রয় করেন যার বিএস খতিয়ান নং ৬৮০, নামজারি কেইস নং ২৭৭/F৭৭/৭৮ এর সাথে বায়না নামা,দখল নামা খাজনা রশিদ সকল কিছু সংগ্রহীত আছে৷ জয়গুন খানমের ২০১২ সনে মৃত্যু হলে বিক্রি শেষে অবশিষ্ট ১একর ৫১শতাংশ জমি তার ছেলে মেয়ে ওয়ারিশ সুত্রে মালিক হন৷ ওয়ারিশ নজরুল ইসলাম,রহিমা বেগম,হুমায়ুন কবির,রিয়াজ খান, ফাতেমা বেগম তাদের জমির বিএস ৯৫২ দাগে মিজানুর রহমান,দিলারা বেগম,ইকবাল হোসেনসহ ৬ জনের নিকট ৩৫.৭১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন৷ ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে মিজানুর রহমান ও দিলারা বেগম এর ১৫.৭১ শতাংশ জমির উপর জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
এ প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, এ জমিটি ছিলো একটি ডোবা ২০১৯ সনে আমরা ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ভরাট করেছি৷ দীর্ঘ এতোটা বছর কেউ কোনদিন এ জমির মালিক দাবি করেনাই এখন ভরাটের পর জমিটি দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় জনৈক ব্যক্তি অহেতুক মামলার মাধ্যমে আমাদেরকে হয়রানি করছে৷ তার সাথে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে৷ আমরা আদালতে জমির মালিকানার সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করেছি৷ বিষয়টি আদালতে সিদ্ধান্ত না হওয়ার পূর্বে আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত৷ বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের জন্য আমরা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারি৷
তিনি আরও বলেন, চরফ্যাশন পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডে আমার বসত বাড়ির কিছু জমি বিক্রি করে উক্ত জমি ক্রয় করা হয়েছে৷ কারো জমি জোর পূর্বক দখল করার ইচ্ছা বা ক্ষমতা আমাদের নেই৷ এটা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট৷
ক্রয় সুত্রে জমির মালিক দিলারা বেগম বলেন, জনৈক আবু জাহের তালুকদার ১৯ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন৷ মামলার কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকায় জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের সাভাবিক কর্যক্রম চলমান আছে৷ ২৬ জানুয়ারি আমাদের সংসদ সদস্য মহোদয়ের মাধ্যমে জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠানের নামফলক উম্মোচন করা হয়৷ কিন্তু এখানে সংবাদ প্রকাশে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে৷ আমরা এর তিব্র নিন্দা জানাই৷