সোমবার ● ৩০ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশনে শাশুড়ি পেটালেন মেয়ের জামাইকে! বিয়াই কে নারী নির্যাতন মামলার হুমকি
চরফ্যাশনে শাশুড়ি পেটালেন মেয়ের জামাইকে! বিয়াই কে নারী নির্যাতন মামলার হুমকি
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
ভোলা চরফ্যাশন জাহানপুর ইউনিয়নের মোঃ হাসেম মাঝির স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৪০) বাদী হয়ে স্বামীর ঋণের টাকা থেকে মুক্তি পেতে মোঃ হেলাল চৌধুরীর (৩৬) বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন৷ গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট সে বিষয়ে মেয়ের জামাই আকবর হোসেন মিথ্যা সাক্ষী না দেওয়ায় নিজেই পেটালেন মেয়ের জামাইকে৷ এবং বেয়াই (আকবরের বাবা) নয়ন মিস্ত্রিকে নারী নির্যাতন মামলার হুমকিও দেন৷
রবিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৪ টার সময় চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড মোঃ হাসেম মাঝির বাড়িতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে৷
জানা যায়, হেলাল চৌধুরীর মৎস আরদ থেকে ইলিশ মৌসুমে জেলে মোঃ হাসেম মাঝি স্বাক্ষী গণের উপস্থিতিতে, স্টাম্পে স্বাক্ষর করে, ১৩ লক্ষ টাকা মাছ ধরার ট্রলারে দাদন হিসেবে গ্রহণ করে৷ কিন্তু অনেক দিন ধরে মাছ বা টাকা কিছুই না দেয়ায় জেলে হাসেম মাঝি কে হেলাল চৌধুরী চাপ প্রয়োগ করেন৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যান হাসেম মাঝি৷ দু’দিন পারে তার স্ত্রী কে দিয়ে হেলাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মিথ্যা ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দায়ের করেন৷ যার পিটিশন নাং ৭২৮/২০২০ইং
জামাই আকবর হোসেন বলেন, আমার স্ত্রী সন্তান শশুর বাড়িতে থাকায় আমি বিকেলে সে বাড়িতে যাই৷ কিছু না বুঝে উঠতেই আমার স্ত্রী ও শাশুড়ি মিলে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন৷ আর বলেন, তুই কেন সাংবাদিকদেরকে সত্য কথা বললি৷ আমার শাশুড়ি তাছলিমা বেগম বলেন, হেলাল চৌধুরী আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে সেটা বললি না কেন?
তাছলিমা বেগমের বেয়াই (আকবরের বাবা) নয়ন মিস্ত্রি বলেন, সত্য কথা বলায় আমার ছেলেকে এমন মেরেছে৷ আমার বেয়াইন (তাছলিমা বেগম) বাজারে এসে ওয়ার্ড মেম্বার এর সামনে আমাকে নারী নির্যাতন মামলার হুমকি দিয়ে গেছেন৷ আমি এর বিচার চাই৷
এ বিষয়ে মামলার বাদী তাসলিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী মোঃ হাসেম অনেক টাকা দেনা আছে৷ দেনাদারের ভয়ে সে এখন বাড়ির বাইরে পলাতক৷ এভাবে কয়দিন থাকবে? আপনার একটা ফয়সালা করে দেন৷