সোমবার ● ১২ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » ১৪ অক্টোবর থেকে ২২দিন ইলিশ ধরা বন্ধ বিষয়ক কুকরি মুকরিতে সচেতনতা সভা
১৪ অক্টোবর থেকে ২২দিন ইলিশ ধরা বন্ধ বিষয়ক কুকরি মুকরিতে সচেতনতা সভা
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
ভোলা-চরফ্যাশন উপজেলার কুকরি মুকরি মনুরা বাজারে ইকোফিশ-২ প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটি শিফগার্ডদের অরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ উক্ত সভায় প্রজনন মৌসুমের জন্য ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, ইলিশের বিপণন, পরিবহন, বেচাকেনা ও মজুদ বন্ধ রাখার বিষয়ে জেলেদেরকে সচেতন করেন৷
সোমবার (১২অক্টোবর) বেলা ১১ টায় চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান ও চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন৷ প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল আমিন, বিশেষ অতিথি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম মিনার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, কন্টিজেন্ট কমান্ডার চরমানিকাসহ জেলেরা উপস্থিত ছিলেন৷
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোঃ রুহুল আমিন বলেন, অতীতে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে ইলিশের যে সাফল্য এসেছে তা অস্বীকার করার নয়৷ অতীতের মতো এবারেও আপনারা স্ব স্ব উদ্যোগে
আন্তরিকতা, সততা, নিষ্ঠা এবং আইনের প্রতি সম্মান রেখে নির্ধারিত কয়টা দিন সকল নিয়ম কানুন মেনে চলবেন এটাই আশা করি৷
সভাপতির বক্তৃতায় আবুল হাসেম মহাজন বলেন, জাটকা সংরক্ষণ, মা ইলিশ সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, জাটকা নিধন বন্ধে এবার প্রশাসন আগের চেয়েও কঠোর অবস্থানে থাকবে৷ মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আপনাদের সহযোগিতায় এবারে ইলিশের সাফল্য অতীতের চেয়েও ভাল হবে বলে আমি বিশ্বাস করি৷
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের ইলিশ পেতে চায় সারা বিশ্ব। আমাদের বিলুপ্তপ্রায় ইলিশ মাছ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা সফল হয়েছেন।জেলেদের দণ্ড দেওয়াটা আমাদের জন্য কষ্টকর। তবে এটুকু কঠোর না হলে এই মূল্যবান সম্পদ আমরা রক্ষা করতে পারব না