বুধবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশন হাসপাতলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট’র অভিযানে চার দালাল আটক৷
চরফ্যাশন হাসপাতলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট’র অভিযানে চার দালাল আটক৷
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দালাল মুক্ত রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেছেন৷ অভিযানে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঔষধের দোকানের চার দালালকে আটক করা হয়েছে৷
অনেকদিন যাবত চরফ্যাশন হাসপাতালে দালালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ রোগী বা ডাক্তার আসার আগেই দালাল হাজির এমন শিরোনামে ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট এবং অনলাইন মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারের পর, আজ উপজেলা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট এ অভিযান পরিচালনা করেন৷
বুধবার (১৬সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দালাল মুক্ত রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়৷ এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ্বাস এবং প্রশাসনের সদস্য উপস্থিত ছিলেন৷
অভিযানে চরফ্যাশন হাসপাতল থেকে দালাল চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়৷ আটককৃতরা হলেন, ঔষধ দোকানের দালাল, জিন্নাগড় ১নং ওয়ার্ড সালামতের ছেলে শান্ত (২০), মাইক্রো জড্রাইভার হাজারীগঞ্জ ৮নং ওয়ার্ড মৃত আক্তার মিয়ার ছেলে সজিব (২০), চরকলমি জলিল বেপারীর ছেলে মিজান (২৬), নাজিমদ্দিনের শফিউল্লাহর ছেলে নিরব (২৮)৷
বেলা ১টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কক্ষে আটককৃত প্রতিজনকে ৫হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করন৷ শেষে আর কখনো এমন কাজ না করার অঙ্গীকার করলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়৷
উল্লেখ্য হাসপাতাল সংলগ্ন নিদৃষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা ও ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ ক্রয় করতে, চরফ্যাশন হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন একটি দালাল চক্র৷ এরই মধ্যে অসংখ্য মানুষ তাদের প্রতারণায় আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ এ দালাল চক্রকে আটক করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে সংবাদকর্মী, সুশীল সমাজ ও অসাধারণ রোগীরা দাবি করে আসছিলেন৷