শনিবার ● ২৯ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশনে বেদে মেয়েদের নিরব চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ
চরফ্যাশনে বেদে মেয়েদের নিরব চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
চরফ্যাশনের রাস্তাঘাটে, হাটে-বাজারে এমনকি বাসাবাড়িতে বেদে মেয়েদের অত্যাচার আর নিরব চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী৷
বেদে মেয়েদের নাকে নথ, পায়ে নুপুরের ঝুমঝুম আওয়াজ, পরনে শাড়ি, হাতে ছোট ছোট বাক্স। দাদা, সাহেব, স্যার, আপু, ভাইয়া এমন সব মিষ্টি কথার ফুলঝুড়ি নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলা জুড়ে চলছে বেদে মেয়েদের কৌশলী চাঁদাবাজি। ইদানিং হিজড়াদেরকেও হার মানিয়েছে বেদে মেয়েরা৷ বাসা বাড়ির নারীরাও রেহাই পাচ্ছেন না তাদের অত্যাচার থেকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চরফ্যাশন হেলিপ্যাড, বটতলা, কেরামতগঞ্জ, বদ্দারহাট, আবুগঞ্জ, দুলারহাট, শশীভূষণ, দক্ষিণ আইচা এ সকল স্থানে অসংখ্য বেদে পরিবারের বসবাস৷ এক গ্রুপ চলে গেলে অন্য গ্রুপ হাজির৷ প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন অত্যাচার ও চাঁদাবাজি চলতে থাকলেও একেবারেই নিরব প্রশাসন৷
চরফ্যাশন পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দ্বীপ নিউজ২৪ কে বলেন, আমি বাসায় না থাকার সুবিধায় এক দল বেদে বিভিন্ন অজুহাত ও আমার শিশু বাচ্চার অসুখের ভয় দেখিয়ে মহিলাদের থেকে ৫হাজার টাকা নিয়ে গেছে৷ ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, গত তিনদিন আগে দু’জন বেদে মেয়ে বয়স ৯ কি ১০ হবে, আমার হাতে-পায়ে ধরে বললো আমার বাবা মারা গেছে কিছু সাহায্য করেন৷ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ওদের হাতে একশ টাকা দিলাম৷ একদিন পর মেয়েদুটোকে অন্য জায়গায় দেখতে পেয়ে বিভিন্ন কথার ছলে জানলাম ওর বাবা জীবিত!
এমন মিথ্যা কথা ও হাতে পায়ে ধরে, যাকে যে কৌশলে ঘায়েল করা যায়, তেমনি ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা৷
আমিনাবাদ ইউপি সদস্য মোঃ ইউসুফ মেম্বার বলেন, বেদে মহিলা বা শিশুদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে এখনই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত৷ সরকার তাদের জন্য সাভারে বেদে পল্লী তৈরি করেছেন। সেখানে লেখাপড়া ও কাজ শেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতো কিছুর পরও থেমে নেই তাদের এই নিরব চাঁদাবাজি। এখনই তাদের থামানো না গেলে দিন দিন বেড়ে যাবে তাদের অপকর্ম।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল আমিন জানান, আমরা এখনো এমন কোন অভিযোগ পাইনি৷ অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব৷