বুধবার ● ২৬ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » উপকুল » চরফ্যাশন শহরের বসত ভিটায় ঢুকছে জোয়ারের পানি৷
চরফ্যাশন শহরের বসত ভিটায় ঢুকছে জোয়ারের পানি৷
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
চরফ্যাশন উপজেলার প্রধান শহর চরফ্যাশন বাজারের চারপাশের খালের পানি ফুঁসে উঠেছে৷ পানি ঢুকতে শুরু করেছে খালের দুপাশে গড়ে ওঠা বসতভিটায়৷ শহরের পানি ও পয়োনিষ্কাশনের ট্রেনগুলো জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকায় লিচু অধিকাংশ বসতঘরের পয়ঃনিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে, দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নিরাপদে জীবন যাপন করার৷
রবিবার (২৩ আগষ্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, কালী বাড়ির পিছনের খাল, শরিফ পাড়া ব্রিজের খাল, থানা রোড ব্রিজের খাল, আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন ব্রিজের খাল, লঞ্চঘাটের খাল, শরিফ পাড়া পশ্চিম মাতার খাল সম্পূর্ণ জোয়ারের পানিতে ভরে, বসতভিটায় ঢুকে পড়েছে৷ এই সকল খালগুলো বিভিন্ন পথে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর সাথে সংযুক্ত৷
অনুসন্ধানে দেখা যায়, মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা বেড়িবাঁধ পুরো চরফ্যাশন কে ঘিরে রেখেছে৷ তিন দিকের বেড়িবাঁধে সামরাজ স্লুইসগেট, খেজুর গাইচ্ছা স্লুইসগেট, নতুন বাজার স্লুইসগেট, বার কপাট স্লুইসগেট এমন অসংখ্য স্লুইসগেট আছে যা নদীর জোয়ার ভাটা হিসেব করে সঠিক ব্যবস্থাপনায় খোলা এবং বন্ধ করা হয় না৷ যার দরুন ভিতরে থাকা বিভিন্ন প্রকারের পানি নদীতে বাহির না হতে পেরে জলাবদ্ধতা ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিতসহ চরফ্যাশনের সকল খালগুলো পানিতে ভরে আছে৷ এর প্রতিফলন ঘটেছে চরফ্যাশন বাজারের আশপাশের খালগুলোতে৷
এ বিষয়ে চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেছে। সাগর উত্তাল থাকায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়াও উত্তাল। এমন অবস্থায় নদীতে ভাটা থাকলেও পানির উচ্চতা অনেক বেশি৷ তাই স্লুইসগেটগুলো খুলে রাখা সম্ভব হয়না৷ ভেতরের পানি নদীতে যা যাবে, তারচেয়ে বেশি ঢুকে পড়বে৷
চরফ্যাশন পৌর মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, বাজারের আশে পাশের খালগুলোর পানি না সরার কারণ আমি খতিয়ে দেখতেছি৷ খালগুলোর পানি চলাচলের পথে কোন বিঘ্ন ঘটছে কিনা তা দেখে, পৌরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে খুব শিগ্রই মুক্ত করবো৷