রবিবার ● ৫ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » উপকুল » তজুমদ্দিনের মেঘনায় ইলিশের আকাল হতাশ জেলেরা
তজুমদ্দিনের মেঘনায় ইলিশের আকাল হতাশ জেলেরা
শরীফ আল-আমীন ॥
ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় ভরা মৌসুমেও চলছে ইলিশের আকাল। রাত দিন বিস্তর্ণ মেঘনায় জাল ফেলে কাঙ্খিত ইলিশ না পেয়ে হতাশা হয়ে পড়ে এ অঞ্চলের হাজার হাজার জেলে।
স্লুইজ ঘাট, চৌমহনী ঘাট, কাটাখালীসহ উপজেলার কয়েকটি মাছ ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, তেমন ক্রেতা বিক্রেতা নেই অনেকটাই নিরবতা বিরাজ করছে ঘাটগুলো। উপজেলা মৎস্য অফিসের দেওয়া তথ্যে এ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ১৭ হাজার ১শ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এদের অধিকাংশ জেলের আয়ের অন্যতম উৎস্য হচ্ছে নদীতে মাছ ধরে বিক্রি করা।
মফিজ মাঝি, ইয়াছিন মাঝি, শাহজাহান মাঝিসহ একাদিক জেলের সাথে আলাপ কালে জানা গেছে, মার্চ এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা ঘরে বসেই বেকারত্ব সময় কাটিয়েছেন। টানা দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুক ভরা আশা নদীতে মাছ ধরতে নামলেও যে পরিমান মাছ ধরা পড়ছে তাতে লাভের পরিবর্তে গুনতে হচ্ছে লোকসান। ফলে মাছ না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন যাপন করছে এ অঞ্চলের মৎস্য পেশার সাথে জড়িত জেলে পরিবারগুলো। ইতোমধ্যে কোন কোন জেলে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশা যাওয়ার কথাও জানায়।
স্লুইজ ঘাটে পারভেজ মাঝি বলেন, প্রতি নৌকায় ৭ থেকে ৮ জন লোক থাকে। রাতে এবং দিনে দুই বার নদীতে জাল ফেলে। প্রতিবারে খরচ হয় ২৫শ থেকে ৩ হাজার। এতে ৪ থেকে ৫টি বেশি মাছ পাওয়া যায় না। মাছ বিক্রি করে যা পাই তাতে লাভের পরিবর্তে লোকসান হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিসার মু. মাহফুজুর রহমান বলেন, বর্তমানে নদীতে ইলিশ ধরা না পড়লেও এবছর অপ সিজনে ব্যাপক পরিমান ইলিশ ধরা পড়ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন, নদীর পানিতে প্রচুর লবন, নদীতে ঘন ঘন চর পড়ার কারণে মাছ চলাচলে বাধা এবং মাছ বংশ বিস্তারের জন্য অনূকূল পরিবেশ না পাওয়ায়, মৌসুমের পরিবর্তণসহ বিবিন্ন কারণে ইলিশের ভরা মৌসুম হওয়া সত্বেও জেলেদের জালে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না।