সোমবার ● ৮ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » দীর্ঘ আড়াই মাস বাদেই ফের চালু হলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আমদানি-রপ্তানি পরিসেবা।
দীর্ঘ আড়াই মাস বাদেই ফের চালু হলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আমদানি-রপ্তানি পরিসেবা।
টিটব বিশ্বাস পেট্রাপোল,বেনাপোলঃ-
দীর্ঘ আড়াই মাস বাদেই ফের চালু হলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আমদানি-রপ্তানি পরিসেবা।খুশি সীমান্তের কয়েক লক্ষ মানুষ।তবে আর্থিক ভাবে কিছুটা হলেও দ্রুত স্বচ্ছল হবে দুদেশ এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তেই তরিঘরি দুই দেশের মানুষকে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণের হাত থেকে দেশের অসংখ্য মানুষকে রক্ষা করতে ভারত সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তর বানিজ্য বন্দর পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তের যাত্রী পরিসেবার পাশাপাশি দ্রুত আমদানি-রপ্তানি পরিসেবা বন্ধ রাখা হয়।
তবে সীমান্তের এই আমদানি-রপ্তানি পরিসেবা বন্ধ থাকার পর অনেকেই আর্থিক ভাবে সমস্যায় পরলেও এর আগে একাধিকবার দু’দেশের আধিকারিকরা আমদানি-রপ্তানি পরিসেবা চালু করতে চেষ্টা করলেও করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফলে আমদানি-রপ্তানি পরিসেবা বন্ধ রাখতে হয়।ইতিমধ্যেই একাধিকবার দু’দেশের কর্মকর্তারা সীমান্তের নোম্যাঞ্চল্যান্ড এলাকায় বসে জরুরী বৈঠক করেছেন।তবে আমদানি-রপ্তানি পরিসেবা বন্ধ থাকার ফলে এই পরিস্থিতিতে দু’দেশের আর্থিক ভাবে ক্ষতি হয়েছে অনেকটাই।তবে লকডাউন কিছুটা শিথিল হলে ভারত সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘ আলোচনার পর নির্দিষ্টভাবে কঠোর কিছু বিধিনিষেধ মেনে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে দুই দেশের অধিকারীদের শীলমোহরে রবিবার থেকে খুলে গেল আমদানি-রপ্তানি পরিসেবা।যদিও কিছু সমস্যার জন্য এদিন সকাল থেকে পরিসেবা চালু করতে না পারলেও দুপুর থেকে এই পরিসেবা চালু হতেই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রায় লক্ষাধিকের বেশি সংখ্যক দু’দেশের মানুষের মুখে আশার আলো দেখ গেলো রবিবার বিকেল থেকে সীমান্তের অন্দরমহলে।ভাইরাস রুখতে দীর্ঘদিন লকডাউন এর ফলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় স্বভাবতই বিপাকে ছিলেন সীমান্তের আমদানি-রপ্তানি পরিসেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা সকলেই প্রায় কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছিলেন।তবে রবিবার ভারত থেকে মোট চব্বিশটি পন্য বোঝাই ট্রাক এদিন বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে গেলেও বাংলাদেশ থেকে বিশেষ কারনে কোন ট্রাক এদিন আসেনি ভারতে তবে সোমবার বাংলাদেশ থেকে আমদানি হবে পন্য এমনটাই জানিয়েছেন পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে থাকা আধিকারিকরা।তবে করোনার জেরে প্রত্যেক গাড়ির চালককে দেওয়া হয়েছে পিপি কিট হাতে গ্লাভস,মুখে মাক্স,এছাড়া প্রতিটি গাড়ির স্যানিটারী করার ব্যবস্থা থাকছে দুদেশেই।যতদিন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস পুরোপুরি নির্মুল হচ্ছে ততদিন এই প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত চলবে দু’দেশের আমদানি-রপ্তানি পরিসেবা চলাকালীন।