বৃহস্পতিবার ● ২১ মে ২০২০
প্রথম পাতা » উপকুল » ঘূর্ণিঝড় আম্ফান : কেড়ে নিলো চার প্রাণ
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান : কেড়ে নিলো চার প্রাণ
দ্বীপনিউজ ডেস্ক।।
প্রবল শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আছড়ে পড়েছে সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের উপকূলে। সুপার সাইক্লোন আম্পান কেড়ে নিয়েছে অন্তত ৪ জনের প্রাণ। নিহতদের মধ্যে পটুয়াখালীর দু’জন ও ভোলার দু’জন। এছাড়া এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক ঘর-বাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
পটুয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে পটুয়াখালীতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে গলাচিপা উপজেলায় রাসেদ (৬) নামে এক শিশু ও কলাপাড়ায় শাহ আলম নামে সিপিপি’র এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
গলাচিপা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ছয় বছরের শিশু রাসেদ মারা গেছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় জনগণকে সচেতন করতে গিয়ে মো. শাহ আলম মীর (৫৫) নামে একজন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে খেয়া পার হওয়ার সময় পানিতে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন। পরে সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
চরফ্যাশন (দক্ষিণ): ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে চরফ্যাশন উপজেলায় সিদ্দিক ফকির (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এছাড়া এক নারী গুরুতর জখম হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর কচ্ছুপিয়া এলাকার রেইনট্রি গাছ ভেঙ্গে মাথায় পড়ে সিদ্দিক ফকির জখম হয়। তাকে তাৎক্ষণিক চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পথের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে একই সময় চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইয়ানুর বেগমের (৩০) গায়ে সুপারি গাছ ভেঙ্গে মাথায় আঘাত লাগে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তার মাথায় প্রায় ২৫/২৬টি সেলাই লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভোলা : ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে পড়ে রামদাসপুর চ্যানেল ৩০ যাত্রীসহ একটি ট্রলার ডুবে একজন নিহত হয়েছে। ট্রলার ডুবিতে নিহত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম এলাকায়। ওই ব্যক্তিসহ ৩০ যাত্রী ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসেন। তারা লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরী ঘাট থেকে ট্রলার যোগে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে ভোলায় আসে। ওই ট্রলার রাজাপুর সুলতানীঘাটের কাছে এলে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই সময় স্রোতের টানে ভেসে যান রফিকুল ইসলাম। পরে তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন কুমার শীল জানান, ট্রলার ডুবে যাওয়ার স্পটটি ছিল মেহেন্দীগঞ্জ সীমানায়।
সাতক্ষীরা: বুধবার সন্ধ্যার পর সাতক্ষীরার সুন্দরবন এলাকায় তাণ্ডব শুরু হয়। ঝড়ের গতিবেগও বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাত সাড়ে ৮টায় এই রিপোর্ট লেখার সময়ও প্রচণ্ড বেগে ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর ও চাকলায় বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। অপরদিকে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে।