বৃহস্পতিবার ● ৯ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশনে ব্যবসায়ী আলী আজগরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ
চরফ্যাশনে ব্যবসায়ী আলী আজগরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি।।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলী আজগর নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্জন স্থানে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী নুরউদ্দিন ফরাজি গংদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাত ১১ টার দিকে আছলামপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের বারু মাস্টার বাড়ির ব্রিজের নিকটবর্তী হানিফ মাওলানার পরিত্যক্ত বাড়ির পিছনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আলী আজগর বর্তমানে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনায় আলী আজগর বাদী হয়ে ৫ জনকে বিবাদী করে চরফ্যাশন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আলী আজগর ও ১নং বিবাদী নুরউদ্দিন ফরাজি দু’জনেই চরফ্যাশন বাজারে ভাঙ্গারী মালামালের ব্যবসা করেন। দীর্ঘদিন যাবত উভয়ের মধ্যে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টায় আলী আজগর দোকানের মালামাল বিক্রি করে টাকাসহ বাড়ি যাওয়ার পথে পূর্বের দ্বন্দ্বের জের ধরে বিবাদী নূরউদ্দিন, শাহাদাত, নোমান, হাবিব ও সুমনসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন মিলে তাকে গতিরোধ করেন। একপর্যায় আলী আজগরকে পরিত্যক্ত একটি বাড়ির পিছনে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
ভুক্তভোগী আলী আজগর বলেন, আমরা একই এলাকার হওয়ায় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য না-কি ওদের ব্যবসা কম হয়। তাই বিবাদীগণ দীর্ঘদিন যাবত আমার দোকান বন্ধ করে দেওয়া, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা, এমনকি আমাকে হত্যা করে গুম করার পরিকল্পনাও করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিত ভাবে আমার উপর এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁরা। এ-সময় আমার সাথে থাকা ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করেন ভুক্তভোগী আলী আজগর।
অভিযোগ অস্বীকার করে নূরউদ্দিন ফরাজি বলেন, কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই। সম্ভবত এটা মিথ্যা ঘটনা। তবে আলী আজগরের সাথে ব্যবসায়ীক নয় অন্য বিষয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে চরফ্যাশন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান নূরউদ্দিন ফরাজি।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই ঘটনায় আলী আজগর বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি যেই হোক তাঁদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।