শনিবার ● ৪ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশনে পূর্ব শত্রুতার জেরে নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুরের অভিযোগ
চরফ্যাশনে পূর্ব শত্রুতার জেরে নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুরের অভিযোগ
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি।
ভোলার চরফ্যাশনে পূর্ব শত্রুতার জেরে আব্দুল আলী মাতাব্বরের (৫৬) নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ নান্নু হাওলাদারের (৫৫) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চরফ্যাশন পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের মোল্লা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আব্দুল আলী মাতাব্বর পেশায় একজন মাছধরা ট্রলারের মাঝি। তার সাথে দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার বাসিন্দা নান্নু হাওলাদারের পারিবারিক বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জেরে তিনি পরিকল্পিত ভাবে আব্দুল আলীর নির্মাণাধীন ঘর ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ঘর নির্মাণের মিস্ত্রি রুহুল আমিন জানান, কিছুদিন পূর্বে নান্নু হাওলাদার এ বাড়িতে এসে আমাকে কাজ করতে নিষেধ করেন। তার সাথে না-কি আব্দুল আলী মাতব্বরের হিসাবনিকাশ আছে। এসবের মিমাংসা না হতে এই বাড়িতে কোন কাজ হবে না বলে তাকে চলে যেতে বলেন। আব্দুল আলী বাড়িতে না থাকায় তাকে না বলেই কাজ রেখে চলে যান মিস্ত্রি।
ভুক্তভোগী আব্দুল আলী বলেন, সারা বছর আমি নদীতে থাকি। মাছ ধরা ট্রলারে মাঝির কাজ করে কিছু টাকা জমিয়েছি। আমার শেষ সম্বল টুকু দিয়ে বসবাসের জন্য একটি সেমি পাকা ঘর তৈরি করার পরিকল্পনা করেছি। মালামাল আনার পর থেকেই প্রতিবেশী নান্নু হাওলাদার মোটা অংকের টাকা দাবি করে আমাকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। আমি তাকে টাকা না দিয়ে বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর ও গণ্যমান্যদেরকে জানিয়েছি। তাদের অনুমতি নিয়ে আমি ঘরের কাজ শুরু করি। সকল ওয়ালের কাজ শেষ হলে গত বৃহস্পতিবার আমার নির্মাণাধীন ঘর ভাঙচুর করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন নেককার জনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কঠিন বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আব্দুল আলী। এ ঘটনায় নান্নু হাওলাদারকে বিবাদী করে চরফ্যাশন থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে
অভিযোগ অস্বীকার করে নান্নু হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমিও লোক মারফতে শুনেছি। কিন্তু কে-বা কাহারা গভীর রাতে তার ঘরের ওয়াল ভাঙচুর করেছে তা আমার জানা নেই।
চরফ্যাশন পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মঞ্জু বলেন, ঘটনার পর আব্দুল আলী মাতব্বর আমার কাছে এসেছেন। আমি ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেছি। সে-সময় ঘরের ওয়াল ভাঙচুর অবস্থায় দেখেছি। তাকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মঞ্জু।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।