শনিবার ● ২১ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » তজুমদ্দিনে বন বিভাগের নার্সারির বেড তৈরিতে অনিয়ম
তজুমদ্দিনে বন বিভাগের নার্সারির বেড তৈরিতে অনিয়ম
তজুমদ্দিন প্রতিনিধি
ভোলার তজুমদ্দিনে বনবিভাগের দৌলতখান রেঞ্জের আওতায় কেওড়ার বাগান সৃজনের লক্ষে নার্সারী বেডে চারা উৎপাদনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২১ অক্টোবর শনিবার উপজেলার গুরিন্দা বাজারে নার্সারী বেড পরিদর্শনকালে বিভিন্ন অনিয়ম দেখা গেছে।
পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বেড তৈরিতে লক্ষমাত্রা চেয়ে কম চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। দায়িত্বশীল একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে, এ কাজে বিভিন্ন খাতে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ রয়েছে। এর দ্বারা ৫০ লক্ষ কেওড়ার চারা উৎপাদনের লক্ষমাত্রা থাকলেও একটি বেডে প্রায় সাড়ে ৪ থেকে ৫ একর ভূমিতে ২০-২৫ লক্ষ চারার বীজ বপন করা হয়েছে। গুরিন্দা বাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীর তীর সংলগ্ন বীজ বপনের সময় ফসলী জমি নষ্ট করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এখানে প্রায় ৫ একর জমির ধানের চারা নষ্ট করে সেই জমিতে নার্সারি করা হয়েছে। এতে কৃষকদের একর প্রতি ৩৭ হাজার ৫শ টাকা করে দেয়া হয়েছে। ফসল নষ্ট করে বীজতলা তৈরীতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ।
আবুল কালাম নামের এক কৃষক অভিযোগ করেন, নার্সারীর চারপাশে বেড়া দেয়ার জন্য শত শত কেওড়া গাছ কেটে আনা হয়েছে। পাশ্ববর্তী বাসন ভাঙ্গা চর হতে বন বিভাগের দৌলতখান রেঞ্জ কর্মকর্তা ও শশীগঞ্জ বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে ম্যানগ্রোভ বাগানের শত শত গাছ কাটা হয়।
স্থানীয় শ্রমিক মনির হোসেন জানান, বন বিভাগের নার্সারিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেও ঠিকমত পারিশ্রমিক দেয়া হয়নি। এই নার্সারিতে তার মতো অনেকেই কাজ করে পারিশ্রমিক দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ তার।
বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দৌলতখানসহ তিনটি বিট অফিসের আওতায় ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন করার জন্য তজুমদ্দিন এলাকায় একটি নার্সারি বেড তৈরি করা হয়েছে। তিন বিট অফিসের জন্য আলাদা বরাদ্ধ থাকলেও একটি বেড তৈরি করে বাকী টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে রয়েছে। এনিয়ে কাউকে কোন তথ্য দেয়া হচ্ছেনা। সবকিছুই অতি গোপনে করা হয়।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে দৌলতখান রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভড করেননি।
শশীগঞ্জ বিট কর্মকর্তা রোমেল রনিকে এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তিনি জানান, নার্সারির বেড়া দেয়ার জন্য কেওড়া গাছের ডাল পালা কাটা হয়েছে। বাকী বিষয়ে সামনা-সামনি কথা বলবো। তখন বিস্তারিত জানাবো।