সোমবার ● ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » উপকুল » চরফ্যাশনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক বোনের জমি দখলের অভিযোগ
চরফ্যাশনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক বোনের জমি দখলের অভিযোগ
চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলাধীন আছলামপুর ইউনিয়নের মৃত সুলতান আহাম্মদ মিয়ার ছেলে সাবেক আছলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ বশির আহাম্মদ মিয়ার বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চরফ্যাশন থানা বরাবর একই এলাকার মোঃ আবুল কাশেম গংদের ১৭৫ শতাংশ জমি অবৈধ ভাবে জবর দখল করার অভিযোগ করেছেন৷
জানা যায়, বশির আহাম্মদ মিয়ার বোন মৃত শামছুন নাহার পিতা মৃত সুলতান আহাম্মদ মিয়ার সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে এস.এ ২৩৮ নং খতিয়ান যার সাবেক দাগ ৭৬৫,৭৬৭ ও ৭৭৯ হাল দাগ ২৫৪৫ এ ৪৯ শতাংশ (বাড়ি), এস.এ ১/৩২৩ নং খতিয়ান যার সাবেক দাগ ৮৩৬,৮৫৭ ও ১৮৮৪ হাল দাগ ২৬১৮,২৬২০ ও ৫৮৪০ এ ১১৬ শতাংশ (বাড়ি ও নাল), ১১৯/৭০ নং দেগুয়ানী মোকদ্দমায় সোলে সুত্রে বিক্রি মুলে প্রাপ্ত এস.এ ২৬৭ নং খতিয়ান যার সাবেক দাগ ১৯০৩ হাল দাগ ৬০৪২ এ ৮৪ শতাংশ (নাল) ও এস.এ ১৮৬ নং খতিয়ান যার সাবেক দাগ ৮২১,৮৩২ হাল দাগ ২৫৯৭ এ ১১০ শতাংশ জমি দিয়ারা মাঠ জরিপ থেকে ৩১ ধারা পর্যন্ত মৃত শামছুন নাহারের নামে রেকর্ড হয়৷ উপরোক্ত খতিয়ান ভুক্ত জমির মধ্যে এস.এ ২৩৮ নং খতিয়ান যার যার সাবেক দাগ ৭৬৫,৭৬৭ ও ৭৭৯ হাল দাগ ২৫৪৫ এ ৪৯ শতাংশ (বাড়ি), এস.এ ১/৩২৩ নং খতিয়ান যার সাবেক দাগ ৮৫৭ হাল দাগ ২৬২০ এ ৩২ শতাংশ (নাল), এস.এ ২৬৭ নং খতিয়ান যার সাবেক দাগ ১৯০৩ হাল দাগ ৬০৪২ এ ৮৪ শতাংশ (নাল), এস.এ ১৮৬ নং খতিয়ান যার সাবেক দাগ ৮২১,৮৩২ হাল দাগ ২৫৯৭ এ ১০ শতাংশ (নাল) মোট ৪৯+৩২+৮৪+১০= ১৭৫ শতাংশ জমি শামছুন নাহার জীবিত থাকা অবস্থায় ভাই বশির আহাম্মদ মিয়া কে অসংখ্য বার বলা সত্যেও জমি বুঝিয়ে না দিয়ে তার ছেলে জিয়াউদ্দিন সোহাগ ও জামাল সহ অবৈধ ভাবে জবর দখল করেন৷
অভিযোগকারী আবুল কাশেম জানান, মামা বশির আহাম্মদ মিয়া ও তার ছেলে জিয়াউদ্দিন সোহাগ দীর্ঘদিন যাবত আমার পরিবারের কেউ উক্ত জমির নিকট না যেতে হুমকিধামকি, মারধর ও মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে৷ আছলামপুর ইউনিয়নে জিয়াউদ্দিন সোহাগ একটি আতংকের নাম৷ সোহাগ এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মাদক সেবন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন কর্মকান্ডে জড়িত৷ সোহাগের নামে চরফ্যাশন থানায় বিভিন্ন অপকর্মের একাধিক মামলা চলমান রয়েছে৷ তিনি বর্তমানে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়েও এলাকায় বহাল তবিয়তে রাজত্ব কায়েম করছে৷ তাদের জবরদখলের কারনে আমাদের প্রাপ্য বৈধ জমি চাষাবাদ করতে পারছিনা৷ প্রশাসনের নিষেধ উপেক্ষা করে আমাদের জমির ধান কেটেনেওয়া পায়তারা করছে৷ স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দের নিকট প্রকৃত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তাদের প্রাপ্য জমি বুঝিয়ে দেয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন আবুল কাশেম৷
অভিযুক্ত বশির আহাম্মদ মিয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় অসংখ্য বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি৷ এদিকে চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন মিয়া বলেন, আবুল কাশেম গংদের ১৭৫ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করেছেন মর্মে গত ২৭ নভেম্বরে একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি৷ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামী ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখেপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ উভয়পক্ষকে চরফ্যাশন থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে৷ ধার্যকৃত দিনে আছলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজুল ইসলাম কে উভয় পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে৷ আমরা বাদী বিবাদীদের বিবাদ মীমাংসায় সাধ্যমত চেষ্টা করবো৷