শনিবার ● ২০ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » উপকুল » টেন্ডার ছাড়াই সরকারী স্কুলের ভবন ভেঙ্গে নেয়া হচ্ছে
টেন্ডার ছাড়াই সরকারী স্কুলের ভবন ভেঙ্গে নেয়া হচ্ছে
ডেক্স রিপোর্ট
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ফজিলাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনের ২য় তলার ফ্লোর দখল করে পরিবার সহ বসবাস ও আরেকটি ভবনের একাংশ ভেঙ্গে ফেলেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বেল্লাল।
অভিযোগ উঠেছে কোন নিলাম ছাড়াই সরকারি বিধি-বিধান/ পরিপত্র অনুসরণ না করে নতুন ভবন নির্মাণের কারণ দেখিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পুরাতন এ ভবনের একাংশ ভেঙ্গে ফেলেছেন। এছাড়াও অত্র বিদ্যালয়ের অন্য একটি ভবনের ২য় তলা দখল করে পরিবার সহ বসবাস করছেন তিনি।
জানা যায়, তজুমদ্দিন উপজেলা সদরে অবস্থিত ফজিলাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য নতুন একটি ভবন নির্মাণের বরাদ্দ হয়। ভবনের নির্মাণের কাজ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস এস এমপি। কিন্তু ভবনের জায়গা নির্ধারণের ঝামেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের পাশের খালি জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে, নতুন ভবনের জন্য আরো জায়গার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে পুরাতন দ্বিতল ভবনের ছাদ সহ একাংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়। সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা সাংবাদিকদের জানায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তারা ভবন ভাঙ্গার কাজ করছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বেল্লাল জানায়, জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে শিক্ষক পরিচালনা কমিটির একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে ভবনের একাংশ ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। সে অনুযায়ী ভবনের একাংশ ভাঙ্গা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের আরেকটি ভবনের ২য় তলা দখল করে বসবাস করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি ২০১৭ সালে মৌখিক ভাবে তৎকালীণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জালাল আহমেদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাধব চন্দ্র দাস বলেন, ভবন ভাঙ্গার বিষয়ে আমাকে অবগত করা হয়নি। সরকারি বিধি বিধান পরিপত্র অনুসরন না করে ভবন ভাঙ্গা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত কাজ। আমি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।