শনিবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশনে দুলাল মেম্বার গংদের কে মিথ্যা মামলায় হয়রানি
চরফ্যাশনে দুলাল মেম্বার গংদের কে মিথ্যা মামলায় হয়রানি
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগর ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিব উল্যাহ দুলাল গংদের কে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ও সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মোঃ মিজানুর রহমান গংদের বিরুদ্ধে৷
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকলা ৯টায় ইউপি সদস্য হাবিব উল্যাহ দুলাল এই অভিযোগ করেন৷
জানা যায়, চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড কাশেমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মৃত নোয়াব আলী মিয়ার ওয়ারিশী ও খরিদ সুত্রে মালিক হইয়া মৃত ফজলুল হক মাস্টার এর ছেলে ইউপি সদস্য দুলাল গং দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত ৬৯ শতাংশ জমি ভোগ দখলে বিদ্যমান৷ উক্ত দখলীয় ৬৯ শতাংশ জমি থেকে ১৯৯৭ সনে ভুলবশত ২৪৪ এস.এ খতিয়ান ৩০২৫ দাগের ২০ শতাংশ জমি দিয়ারা রেকর্ডে মৃত জয়নাল আবেদিন গংদের নামে বেশি রেকর্ড হয়৷ যে জমিতে কাশেমগঞ্জ বাজারের ভিটা, বাজার উন্নয়ন সড়ক, বিদ্যুৎ লাইন, মাছের পুকুর রয়েছে৷ দীর্ঘ ২৬ বছর উক্ত জমির কোন ধরনে মালিকানা দাবি না করলেও কয়েক মাস যাবত মিজানুর রহমান গং জমির মালিক দাবি করিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ, মামলা দায়ের ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে৷
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য দুলাল বলেন, ২০ শতাংশ জমি দিয়ারা রেকর্ডে মৃত জয়নাল আবেদিন গংদের নামে বেশি রেকর্ড হওয়ায় আইনানুগভাবে উক্ত রেকর্ড বাতিলের জন্য আমারা আবেদন করেছি৷ আমাদের ওয়ারিশী এবং খরিদ সুত্রে দখলীকৃত সম্পত্তি থেকে বেদখল করার অপচেষ্টায় গত ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মোকাম চরফ্যাশন উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৮ জনকে আসামি করে সি.আর-১০৩/২০২১ নং মামলা দায়ের করেন৷ মামলার এজাহারে সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও অযৌক্তিক কথা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে৷ তাদের এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও মামলার কারনে আমার পরিবার সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে সম্মান নষ্ট হয়েছে৷
কাশেমগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আকতার ডাক্তার বলেন, আমাদের জানামতে উক্ত সম্পত্তি দীর্ঘ দিন যাবত ওয়ারিশ ও খরিদ সুত্রে মালিক হইয়া দুলাল মেম্বার গং ভোগদখলে আছে৷ একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় মিজানুর রহমান গং খামোখা তাদেরকে হয়রানি করছে৷ আমরা আশা করছি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত মোকাদ্দমা অতি দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি হবে৷
স্থানীয় জাহের পাটোয়ারী বলেন, দীর্ঘ অনেক বছর পরে কয়েক মাস যাবত দুলাল গংদের নিজস্ব সম্পত্তিতে কোন প্রকার কাজ করতে গেলে মিজানুর রহমান, তার ভাই ও মহিলা সহকারে বাধা দিতে আসে৷ ভুলবশত ২০ শতাংশ জমি ওদের নামে রেকর্ড হওয়ার মিজান গং উক্ত জমি দাবি করছে৷ অনেকবার বসাবসি হয়েছে কোন প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি মিজানুর রহমান গং৷
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী মিজানুর রহমান বলেন, মামলার তদন্তের জন্য চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ কে বলা হয়েছে আমরা আশাকরি সঠিক বিচার পাবো৷