রবিবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » ফলো-আপ : তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিলের ত্রাণসামগ্রী ও শীতবস্ত্র জব্দের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ফলো-আপ : তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিলের ত্রাণসামগ্রী ও শীতবস্ত্র জব্দের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার তজুমদ্দিনে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষ হতে করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের বিশেষ উপহার সামগ্রী ও কম্বল উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষ হতে করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের বিশেষ উপহার সামগ্রী ও কম্বল উদ্ধারের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন উপজেলা কৃসি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হেসেন মিয়া, উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাসেদ খান ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম। তাদেরকে আগামী ৯ ফেব্রæয়ারীর (মঙলবার) মধ্যে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন দখিলের জন্য বলা হয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের বিশেষ উপহার সামগ্রীর ৩২ বস্তা ত্রাণসমাগ্রী ও ২০০ পিচ কম্বল চাচঁড়া ইউপির হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়। বরাদ্ধকৃত ত্রাণ সমাগ্রি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে গত শুক্রবার ইউপিতে নিয়ে যান চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান। কিন্তু এসব ত্রান ইউপি’র গোডাউনে না নিয়ে তিনি ১ কি.মি. দুরে মধ্য চাঁচড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, বিষয়টি তিনি টের পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলে তারা কর্ণপাত করেননি। পরে তিনি ৯৯৯-এ কল দিয়ে অভিযোগ করলে রাত ২.৩০ মিনিটে থানা পুলিশ মধ্য চাঁচড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এসব ত্রান সামগ্রি উদ্ধার করে স্থানীয় চৌকিদারের জিম্মায় রাখেন। পরদিন শনিবার উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা ত্রানের ২০০ পিচ কম্বল ও ৩২ বস্তা ত্রাণ উপজেলায় নিয়ে আসেন। পরে রবিবার এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এরআগেও চাচাঁড়া ইউপিতে জেলে পূর্নবাসনের চাল বিতরনে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ইউপির এক সদস্য। প্রশাসক বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন জেলার নির্বাহি একজন ম্যাজিষ্ট্রেট। পরে গত বছরের ৯ জুন ওই অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হলেও কোন সুরাহা হয়নি।