শনিবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশনে জেনারেল হাসপাতালের জমির বৈধতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
চরফ্যাশনে জেনারেল হাসপাতালের জমির বৈধতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
চরফ্যাশনে জেনারেল হাসপাতালের নির্ধারিত জমির মালিকানা নিয়ে হয়রানির মূল নায়ক চরফ্যাশন থানা রোডস্থ মেসার্স সানাউল্লাহ ট্রেডার্স এর মালিক মোঃ রিয়াজ ও মেহেদি হাসান রাজিব৷ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পরে সকল সংবাদকর্মীকে মৌখিক বক্তব্যে এ কথা নিশ্চিৎ করেন মিজানুর রহমান৷
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের নির্ধারিত জমির মালিকানার বৈধতা নিয়ে মালিক পক্ষ মিজানুর রহমান ও দিলারা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেছেন৷
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় চরফ্যাশন প্রেসক্লাব হলরুমে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সম্মেলনে মিজানুর রহমান সাংসদ কর্মীদের উদ্দেশ্য এক লিখিত বক্তব্য পেশ করেন৷
মিজানুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৬৬-৬৭ সনে নিলামে খরিদ সুত্রে দখলিয় সম্পত্তি ওয়ারিশগণ থেকে ১০ জুলাই ২০১৯ তারিখে চরফ্যাশন সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে জেনারেল হাসপাতালের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে৷ যার দলিল নং ৪০১৯ অনলাইন নামজারি খতি নং ১৫৬৪৷ কিন্তু দীর্ঘ ৫৩ বছর পরে চরফ্যাশন বাজারের রড সিমেন্ট ব্যবসায়ি সানাউল্লাহ ট্রেডার্স এর মালিক মোঃ রিয়াজ এবং মেহেদি হাসান রাজিব এর প্ররোচনায় জনৈক আবু জাহের তালুকদার উক্ত জমির প্রকৃত মালিক দাবি করে কিছু ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে গত ১৯ জানুয়ারি- ২০২১ তারিখে চরফ্যাশন যুগ্ন জজ (২য়) আদালতে আমাদের দলিল বাতিলের জন্য মোকদ্দমা দায়ের করেন৷ যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক বলে দাবি করছি৷ তার সাথে গত ২৮ জানুয়ারি ২১ চরফ্যাশনের কিছু সংবাদ কর্মীকে ভুল বুঝিয়ে আমাদের জেনারেল হাসপাতালের নামে অন্যের রেকর্ডীয় জমি দখলের পায়তারা চলছে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছিলেন৷ এতে সামাজিক, রাজনৈতিক ভাবে আমাদের সম্মানহানি হয়েছে৷
তিনি আরো বলেন, ১৯৬৭ সনে মুকবুল খান এবং আবুল হাসেম মাস্টার জমির খাজনা, দাখিলাসহ ততকালীন সরকারের নিয়মকানুন না মানার করনে সরকার ১২ একর ৭ শতাংশ জমি নিলামে তুলে৷ যাহার নিলাম কেইস নং ৩৪৬-এল ৬৬-৬৭৷ উক্ত সরকারের নিলামে তোলা জমি জয়গুন খানম ক্রয় করেন যার বিএস খতিয়ান নং ৬৮০, নামজারি কেইস নং ২৭৭ এফ ৭৭/৭৮ এর সাথে বায়না নামা,দখল নামা খাজনা রশিদ সকল কিছু সংগ্রহীত আছে৷ জয়গুন খানমের ২০১২ সনে মৃত্যু হলে অবশিষ্ট ১ একর ৫১শতাংশ জমি তার ছেলে মেয়ে ওয়ারিশ সুত্রে মালিক হন৷ ওয়ারিশ নজরুল ইসলাম,রহিমা বেগম, হুমায়ুন কবির,রিয়াজ খান, ফাতেমা বেগম তাদের জমির বিএস ৯৫২ দাগে মিজানুর রহমান,দিলারা বেগম,ইকবাল হোসেনসহ ৬ জনের নিকট ৩৫.৭১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন৷ ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে মিজানুর রহমান ও দিলারা বেগম এর ১৫.৭১ শতাংশ জমির উপর জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
এ প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, এ জমিটি ছিলো একটি ডোবা ২০১৯ সনে আমরা ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ভরাট করেছি৷ দীর্ঘ এতোটা বছর কেউ কোনদিন এ জমির মালিক দাবি করেনাই এখন ভরাটের পর জমিটি দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় জনৈক ব্যক্তি অহেতুক মামলার মাধ্যমে আমাদেরকে হয়রানি করছে৷ তার সাথে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে৷ আমরা আদালতে জমির মালিকানার সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করেছি৷ চরফ্যাশন পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডে আমার বসত বাড়ির কিছু জমি বিক্রি করে উক্ত জমি ক্রয় করা হয়েছে৷ কারো জমি জোর পূর্বক দখল করার ইচ্ছা বা ক্ষমতা আমাদের নেই৷ প্রকাশিত সংবাদ টি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট৷