রবিবার ● ৩ মে ২০২০
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » সীমান্তের আমদানি-রপ্তানিতেই ছড়াতে পারে করোনা রোগ,এই আতঙ্কে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধের দাবিতে পথে নামল ভারতীয় শ্রমিক এবং গ্রামবাসীরা
সীমান্তের আমদানি-রপ্তানিতেই ছড়াতে পারে করোনা রোগ,এই আতঙ্কে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধের দাবিতে পথে নামল ভারতীয় শ্রমিক এবং গ্রামবাসীরা
টিটব বিশ্বাস ভারতঃ-
সীমান্তের আমদানি-রপ্তানিতেই ছড়াতে পারে করোনা রোগ,এই আতঙ্কে দ্রুত সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধের দাবিতে পথে নামল ভারতীয় শ্রমিক এবং গ্রামবাসীরা।এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র ভারতে অবস্থিত পেট্রাপোল এবং বাংলাদেশে অবস্থিত বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে করোনা সংক্রমনের ভয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের দাবিতে পথে নামল পেট্রাপোল সীমান্তে গ্রামবাসীরা।গোটা বিশ্ব যখন করোনা আতঙ্কে কাঁপছে তখনই নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে তড়িগড়ি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ভারতবর্ষের সমস্ত সীমান্তসহ পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অন্যতম তথা এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রথমে যাত্রী পরিষেবা এবং পরবর্তীতে আমদানি-রপ্তানি পরিষেবা পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।দীর্ঘদিন পন্য সামগ্রী আমদানি-রপ্তানি পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে কিন্তু দেশের আর্থিক অবস্থা ক্রমশই খারাপ হতে থাকে।এমনকি শ্রমিকদেরও অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যেতেই কিছু ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানান,একাধিক বার বৈঠক হয় সকলের সঙ্গে।এমনকি বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থিত কাস্টমস আধিকারিকদের সাথেও আলোচনা করা হয়।তারাও তাদের উদ্বোধন ও কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করে অবশেষে দু’দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে সীমান্তে একাধিকবার বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দু’দেশের গাড়ি দুরত্ব বজায় রেখে পন্য নামানো হবে।এই সিদ্ধান্তেই একপ্রকার দীর্ঘ ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর শুরু হল গত ৩০ এপ্রিল পেট্রাপোল এবং বেনাপোল সীমান্তের মধ্যে আমদানি এবং রপ্তানি পরিসেবা শুরু হয়।সিদ্ধান্ত হয় দুই দেশের মাঝে নোম্যান্সল্যান্ডে হবে গাড়ি লোডিং এবং আনলোডিং এর কাজ হবে।আমদানি-রপ্তানি পরিষেবা শুরু হতেই এই নিয়ে শুরু হয় ভারতবর্ষে রাজনৈতিক তরজায় সীমান্ত বন্ধের দাবিতে সরব হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তবে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দোষারোপ করতে ছাড়েননি বিজেপি কর্মীরাও।সেই মতোই কাজ শুরু হলেও গত শনিবার থেকে রপ্তানি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় ভারতে অবস্থিত পেট্রোলের লোডিং এবং আনলোডিং এ কর্মরত একাংশ শ্রমিকরা।
এরপর রবিবার সকালে ফের পেট্রাপোল থানার জয়ন্তীপুর বাজারে আন্তর্জাতিক যশোর রোডের উপর রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা।অবরোধের শামিল হয়েছিলেন এলাকার মহিলারাও। অবরোধকারীদের দাবি বনগাঁ সহ গোটা ভারতবর্ষকে সুরক্ষিত রাখতে বনগাঁর মানুষকে করোনা আক্রান্তের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে আমদানি এবং রপ্তানি পরিসেবা দ্রুত বন্ধ করতে হবে।অবরোধের ফলে সীমান্তে কর্তব্যরত বেশকিছু কাস্টমস আধিকারিক মাঝ রাস্তার মধ্যে দীর্ঘ সময় আটকে থাকেন।অবশেষে পেট্রাপোল থানার বিশাল পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলার পর অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেন।তবে অবরোধ কারীদের দাবি যদি দ্রুত এই আমদানি এবং রপ্তানি বন্ধ না হয় তাহলে তারা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোiলনের পথেও নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।এই নিয়ে পেট্রাপোল সীমান্তে অবস্থিত স্থানীয় ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষও আমদানি এবং রপ্তানি বন্ধের পক্ষেই মত দেন।বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সহ-সভাপতি দেবদাস মন্ডল জানান কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণভাবে সঠিক চিন্তা ভাবনা করেই এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমদানি-রপ্তানি পরিষেবা চালু করেছেন।কিন্তু তৃণমূল সরকার এই নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছেন।যে নির্দেশ অনুযায়ী আমদানি-রপ্তানি কাজ শুরু হয়েছে সে-ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে কোন রকম ভাবেই করো না রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা নেই।তবে যদি সরকার কখনো মনে করেন যে এভাবে রোগ সংক্রমণ হতে পারে তাহলে অবশ্যই দ্রুত সীমান্তে আমদানি-রপ্তানি পরিষেবা কেন্দ্র সরকার বন্ধ করে দেবেন।