রবিবার ● ১৫ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » চরফ্যাশনে আবদুর রশিদ হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
চরফ্যাশনে আবদুর রশিদ হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় চাঞ্চল্যকর আবদুর রশিদ হত্যা মামলায় ১৪ আসামিকে জাবজ্জীবন কারাণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১২টায় চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন৷ এসময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ৪ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন৷
রায়ের তথ্য সূত্রে জানা যায়, চরফ্যাশন উপজেলা ওসমানগঞ্জ ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড উত্তর ফ্যাশন গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মিয়ার সাথে দির্ঘদিন ধরে তার প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন আবুল বাশার, নুর হোসেন ও নোমান গংদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা চলমান ছিল। আবদুর রশিদ গত ৩০ মে ২০১৩ তারিখ সন্ধ্যায় ওসমানগঞ্জ ইউনিয়ন সীমান্ত এলাকায় লালমোহন উপজেলার কর্তারহাট বাজার মসজিদে মাগরিব নামাজ পড়েন৷ নামাজ শেষে নিজ বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা আবদুর রশিদ এর বাড়ি সংলগ্ন সুপারি বাগানের কাছে ধারালো দা’সেনি দিয়ে কুপিয়ে ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
এঘটনায় ২০১৩ সালে চরফ্যাশন থানায় ১৮জনকে আসামি করে নিহতের ভাই মোঃ হানিফ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ সময় মামলা চলমান থাকার পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ জন আসামিকে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত জাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদাণ করেন৷ দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে ৭ জন কারাগারে থাকলেও বাকি ৭ জন পলাতক রয়েছে।
এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মোঃ আমিনুল ইসলাম সরমান এবং আসামি পক্ষের ছিলেন, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন, মোজাম্মেল হক, রমিজ উদ্দিন ও সিদ্দিকুর রহমানসহ স্টেট ডিফেন্স পক্ষে ছিলেন, মাইনুল ইসলাম সরমান।
রাষ্ট্র পক্ষের পিপি এ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম সরমান বলেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হত্যা মামলাটির তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আসামিগণ হত্যার সাথে সম্পৃক্ত থাকার প্রমান করতে সক্ষম হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত এই রায় প্রদান করেছেন৷
এদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ত ছিল না৷ তাই তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আফিল করবেন৷