মঙ্গলবার ● ১০ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » উপকুল » জমির নামজারি ও রেকর্ড হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, গ্রাহক পাবে মুক্তি
জমির নামজারি ও রেকর্ড হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, গ্রাহক পাবে মুক্তি
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
জমির রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার আট দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি হয়ে যাবে এবং এসি ল্যান্ডকে বাধ্যতামূলকভাবে সেই জমির রেকর্ড সংশোধন করতে হবে। টাকা ছাড়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কোন কাজ হয়না বা নামজারির নামে ভূমি অফিস হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা এমন কথা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে৷ আশা করা যাচ্ছে জমির রেকর্ড সংশোধন পর্যন্ত এখন আর সেই স্কোপ থাকবেনা৷ সাধারণ গ্রাহক মুক্তি পাবে বিভিন্ন হয়রানি থেকে৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা যায়, এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে রেজিস্ট্রেশন স্বচ্ছ হবে, নামজারি এবং রেকর্ড সংশোধন অটোমেটিক হবে। এছাড়া উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিকানার বিষয়টিও এই সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ভূমি রেজিস্ট্রশন আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন সাব-রেজিস্ট্রার অফিস করে। আর ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা অফিস বা সার্কেল ভূমি অফিস জমির নামজারির কাজ করে। দুটি ভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করা হয় বলে সমন্বয় করা কষ্টসাধ্য ছিল, এজন্য দীর্ঘসূত্রিতা ছিল। রেজিস্ট্রেশনে কিছুটা অস্পষ্টতা ছিল, যে কোনো জমি যে কেউ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারত। আবার নামজারির ক্ষেত্রে ঝামেলা হত, দলিল পাওয়া যেত না, নোটিশ বোঝা যেত না, এ কারণে দীর্ঘদিন এগুলো পড়ে থাকত।
কেউ জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য গেলে, সাব-রেজিস্ট্রার আগের মত সাথে সাথে রেজিস্ট্রি করে দেবে না৷ অনলাইনে এসি ল্যান্ডের অফিস থেকে রেকর্ড অব রাইটস-এর স্ট্যাটাস জানবেন। রেসপন্সিভ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেই তথ্য জানানো হবে। তখন এসি ল্যান্ডও জানবেন এই তথ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
নামজারির জন্য আলাদা কোনো আবেদন করতে হবে না। আট দিনের মধ্যে নামজারি হয়ে যাবে। এসবের ম্যানুয়াল কপিও দেওয়া হবে। উত্তরাধিকার সূত্রে জমির কে কতটুকু অংশ পাবে সেটাও এই সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হবে৷
অনেকে রেজিস্ট্রেশন করে নামজারি করলেও রেকর্ড সংশোধন করেন না। এখন এসি ল্যান্ডের দায়িত্ব থাকবে মাসিক প্রতিবেদন দেবে এসিডি রেভিনিউ এবং ইউএনওর কাছে কতটি নামজারি হল এবং কতটি রেকর্ড সংশোধন হল। রেকর্ড সংশোধন করাটা এসি ল্যান্ডের দায়িত্ব হলেও অনেক ক্ষেত্রে তারা করতেন না। এখন লালকালি দিয়ে এসি ল্যান্ডকে রেকর্ড সংশোধন করতে হবে। আগে দলিল পেত না বলে অনেক সময় নামজারি না করেও বেঁচে যেতেন এখন আর সেটা হবে না।