শনিবার ● ১০ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » আইন-শৃংখলা » ভোলা-চরফ্যাশনে জমিজমা বিরোধের জেরে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার মহাউৎসব
ভোলা-চরফ্যাশনে জমিজমা বিরোধের জেরে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার মহাউৎসব
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
ভোলা-চরফ্যাশন উপজেলায় জমিজমা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের স্ত্রী, কন্যা, পুত্রবধূ অথবা ভাবিকে দিয়ে ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা বা অশ্লীলতা হানির অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলার হিড়িক পড়েছে৷ এ যেন এক মিথ্যা ধর্ষণ মামলার মহাউৎসব৷
অনুসন্ধান ও পত্রপত্রিকার মাধ্যমে দেখা যায়, গত কয়েক মাসের মধ্যে চরফ্যাশন থানা, শশীভূষণ থানা, দক্ষিণ আইচা থানা, দুলারহাট থানা এবং চরফ্যাশন ও ভোলা আদালতে এসকল মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ মামলাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চরফ্যাশন পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডে মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে সোহরাব হোসেনের ৮বছরের কন্যাকে দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা৷ পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডে আব্দুল কাদেরের পুত্রবধূকে দিয়ে মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায়৷ নীলকমল ইউনিয়নে ১০বছরের আল আমিনের বিরুদ্ধে ২২বছরের মেয়েকে দিয়ে ধর্ষণ মামলা, শুধু তাই নয় এ ধর্ষণের ফলে ওই তরুণী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে৷ চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের ধলু মিয়ার স্ত্রী এবং কন্যাকে দিয়ে রেদওয়ানের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি ধর্ষণ মামলায়৷ উত্তর আইচা দুলাল মাঝির স্ত্রীকে ধর্ষণের পর গুম ও খুনের অভিযোগ এনে হাসান, আজগর ও মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা৷ ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নে ভাবিকে ধর্ষণের চেষ্টায় দেবর গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা৷ পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডে ইসকন মন্দিরের বাবুর্চি রিপন মহাজনের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা৷ এমন অসংখ্য মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় কারাভোগ করছেন অসংখ্য নিরীহ মানুষ৷ ছাড়াও জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ সন্তান বা স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ করে অথবা বাড়ি লুটপাটের অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলার মহাউৎসব এখন চরফ্যাশনে৷
ভুক্তভোগী চরফ্যাশন পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের মাওলানা কয়ছর আহমেদ জানান, চরফ্যাশন ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা একজনের জমি অন্যজনকে পাইয়ে দিতে নামে-বেনামে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে দেন৷ এছাড়াও ভুলবশত জরিপে একজনের জমি অন্যজনের নামে রেকর্ড হওয়ায় চরফ্যাশনে জমি জমার বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে৷ এসকল বিরোধ মীমাংসায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কঠোর অবস্থানে থেকে প্রকৃত কাগজপত্র দেখে সালিশের মাধ্যমে জমিজমার বিরোধ মীমাংসা করতে পারলে অধিকাংশ মিথ্যা মামলার হাত থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাবে৷