শুক্রবার ● ৯ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » উপকুল » ভোলা-চরফ্যাশনে সবজির বাজার আগুন! ক্রেতাশূণ্য দোকান
ভোলা-চরফ্যাশনে সবজির বাজার আগুন! ক্রেতাশূণ্য দোকান
আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷
ভোলা-চরফ্যাশনে শাকসবজির দামে এক রকম আগুন লেগেছে। বাজারে আসা সকল প্রকার শাকসবজির দাম নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগালের বাহিরে৷ ক্রেতাশূণ্য বাজার৷ দাম শুনে অবাক সাধারণ ক্রেতা৷ খালি হাতে ফিরতে দেখা গেছে অনেককে৷
গতকাল চরফ্যাশন সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যে নেই স্বস্তি। দাম শুনে যেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ৷ অনেকেই বলছেন আয়ের সাথে মিল করে ডিম আর ডাল ছাড়া উপায় নেই৷
সবজি কিনতে আসা রহিমা আফরোজ বলেন, বাজারে প্রায় সব ধরনের শাক-সবজির দাম আকাশচুম্বী৷ ছোট একটি লাউ কিনলাম ৮০ টাকা দিয়ে৷ যে লিস্ট নিয়ে বাজারে এসেছি তা আর কেনা হবে না।
সবজি বিক্রেতা জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা কি করব ভাই৷ আরত থেকে যে দামে কিনা তার চাইতে কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা লাভে বিক্রি করতে কষ্ট হয়৷ আগে যে সকল ক্রেতা ২ থেকে ৩ কেজি করে সবজি কিনেছে তারা এখন আধা কেজি নিকে৷ এতে করে সারাদিনের বিক্রি শেষে যে লাভ হয় তাতে পরিবার নিয়ে দু’মুঠো ডাল ভাত খাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে৷
বাজারে বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা প্রতি কেজি গাজর ৮৫ টাকা, পেঁপে ৫০টাকা, মুলা ৬০টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪৫টাকা, করলা ৭০টাকা, শসা ৬০টাকা, কাঁকরোল ৬০টাকা, পটল ৬৫টাকা, বেগুন ৬০টাকা, কাঁচা কলা হালি ৫০টাকা, ধুন্দল ৫০টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০০টাকা, ঢেঁড়স ৬০টাকা, কচুর গাটি ৫০টাকা, বরবটি ৬৫টাকা বিক্রি হচ্ছে৷
সবজির আরতদার মোঃ রাশেদ জানান, অতিরিক্ত বর্ষা এবং নদীর উজানের পানি ঢুকে অধিকাংশ খামারির ফলন নষ্ট হয়ে যায়৷ তারমধ্যে যেসকল খামারিদের শাকসবজি হয়েছে সেগুলোও লালমোহন, তজুমদ্দিন, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, বাংলাবাজার, এমনকি ভোলার পাইকার এসে অতিরিক্ত দাম তুলে নিয়ে যান৷ সবজির তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় ক্রেতারা অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে৷