শুক্রবার ● ১ মে ২০২০
প্রথম পাতা » উপকুল » বানারীপাড়ায় প্রাইভেট টিউটর ও কোচিং শিক্ষকদের করুণ অবস্থা
বানারীপাড়ায় প্রাইভেট টিউটর ও কোচিং শিক্ষকদের করুণ অবস্থা
বানারীপাড়া প্রতিনিধিঃ
বানারীপাড়ায় প্রাইভেট টিউটর ও কোচিং শিক্ষকদের করুণ অবস্থা
সারাপৃথিবী করোনা ভাইরাসের ছোবলে থমকে গেছে। বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও তৈরি হয়েছে অঘোষিত লকডাউন পরিস্থিতি। ভাইরাসের বিস্তার রোধে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও পরে আবার তা বাড়ানো হচ্ছে পযায়ক্রমে। এ অঘোষিত লকডাউনে মানুষ বাইরে বের হয়ে আয়-রোজগারকরতে পারছে না। এতে দারিদ্র্যের লাইন দিন থেকে দিন বড় হয়ে যাচ্ছে।এ লাইনে যোগ হচ্ছে প্রাইভেটটিউটর ও কোচিং এ নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করা শিক্ষকরা। বানারীপাড়া উপজেলার সকল কোচিং সেন্টার গুলো পরিচালিত হয় অনার্স মাষ্টাস পাশ করা বেকার যুবকদের দ্বারা বা যারা চাকুরি নামে সোনার হরিন টি পায়নি।কোচিং এর পাশাপাশি অনেক শিক্ষিত যুবক মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে টিউশনি করিয়ে নিজের ও প্রিয় পরিবারের চাহিদা পূরন করে থাকে। এই হোমটিউটার ও কোচিং শিক্ষকদের উপর নিভর্র করে তাদের পরিবার গুলো। পরিবার গুলোর হাসি- কান্না,সুখ-দুঃখ,মায়ের স্বপ্ন,ছোট ভাইবোনের ভালোবাসা সব যেন তারা। আজ যেন তারা নিরুপায়,নিবার্ক ও তাদের চোঁখ মুখে অসহায়ত্বের ছাপ। বানারীপাড়ার কোচিং সেন্টারের পরিচালকবৃন্দরা বলেন আসলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চাপ থাকলে তারা কোচিং বা প্রাইভেট মুখী হয়ে থাকে।এখন এ অঘোষিত লকডাউনে সরকার নিদের্শিত প্রথম তারিখ থেকে কোচিং ও সব প্রাইভেট বন্ধ রাখছি। লকডাউনের সময় দীঘায়িত হচ্ছে এদিকে আমরা অসহায় হয়ে যাচ্ছি। আমাদের খোজ নিচ্ছে না কেউ। আমরা কারো কাছে হাত ও পাততে পারছি না। আরেকটি কোচিং পরিচালক বলেন,আমরা প্রাইভেট পড়িয়ে আমাদের পরিবার এর জীবিকা নির্বাহ করি।আমরা প্রাইভেট টিউটর এবং কোচিং শিক্ষকরা কারো কাছে চাইতে পারছি না, মুখ বুজে সহ্য করছি। এখন আমরা কি করবো, কোথায় কার কাছে যাবো। এ নিয়ে সরকার বা জেলা প্রশাসন কি কিছু ভাবছে? বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক হোম টিউটর বলে,যেই সময়টাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা কিংবা গল্প-গানে মেতে ওঠার কথা, সেই সময়টাতে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থীকে ব্যস্ত থাকতে হয় অর্থ উপার্জনের ভাবনায়। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা আমরা শুধু পড়ালেখায় মনোনিবেশ করলেই চলে না; ভাবতে হয় পড়ালেখা চালিয়ে নেয়ার অর্থ এবং পরিবারের দায়িত্বও। অনেকদিন থেকে বসা,নেয় কোন আয়,বড়লোকদের মতো আমাদের ব্যাংক ব্যালান্স নেই। তাই আজ আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টিউটর বলে,সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনা করার পর,কমবেশি সময় জুড়ে দেয়া হয়, এতে করে দোকান,অন্যন্যা ব্যবসা বানিজ্য চলে। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কারনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ টিউশনি করে পরিবার পরিচালনা করা শিক্ষাকেরা। সরকার কম বেশি সবার খোজ খবর নিলেও,আমরা তার মধ্যে পড়ছি না। গ্রাম থেকে আসা একজন বলেন, আমি শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে টিউশনি করে নিজের লেখাপড়া খরচ চালাই এবং আমার পরিবারে অর্থের যোগান দেই। আজ আমি নিঃস্ব, বাসা ভাড়া মওকুফ করবে কিনা তাও জানি না। আজ নিঃস্ব হয়ে যাওয়া হোমটিউটর ও কোচিং পড়ানো শিক্ষকদের লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে তাদের দাবি,তাদেরকেও যেন সরকারের দেয়া প্রণোদোনা প্যাকেজের আওতাভুক্ত করা হয়।